ঢাকা   রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

দক্ষিণ আফ্রিকায় গ্যাং-শাসিত অবৈধ স্বর্ণখনির ঝুঁকির জীবন

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২০ পিএম | আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২০ পিএম

 

 

দক্ষিণ আফ্রিকার অবৈধ স্বর্ণখনিতে কার্যক্রম দীর্ঘদিন ধরে এক অন্ধকার বাস্তবতার জন্ম দিয়েছে। গ্যাং-নিয়ন্ত্রিত(সন্ত্রাসী দল) এই খনিগুলোতে বহু মানুষ জীবিকার তাগিদে ঝুঁকি নিয়ে কঠিন পরিবেশে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন।এমনই একজন ৫২ বছরের এনডুমিসো, যিনি নিজের পরিবারকে বাঁচানোর তাগিদে এই ভয়াবহ জীবনের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছেন।

 

 

দক্ষিণ আফ্রিকায় অবস্থিত একটি পুরোনো স্বর্ণখনির ভিতরে গড়ে উঠেছে গ্যাং-নিয়ন্ত্রিত শহর। এটি মূলত একদল অবৈধ খনি শ্রমিক বা "জামা জামা" দ্বারা পরিচালিত হয়। খনির ভিতরে এই গ্যাং-শাসিত এলাকায় রয়েছে বাজার, টর্চ বিক্রেতা থেকে শুরু করে "রেড লাইট ডিস্ট্রিক্ট" পর্যন্ত। এখানকার শ্রমিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্বর্ণ আহরণ তা কালোবাজারে বিক্রি করেন।১৯৯৬ সালে চাকরি হারানোর পর এনডুমিসো এই অবৈধ খনিতে কাজ শুরু করেন।

 

 

গভীর খনির ভিতরে থাকা এনডুমিসো তিন মাস পরপর মাটির উপরে উঠে নিজের খননকৃত স্বর্ণ বিক্রি করেন। তিনি জানান, একবার খনিতে প্রবেশ করলে মাসের পর মাস সেখানে থাকতে হয়। তিনি খাদ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে যান, কারণ খনির নিচে থাকা "বাজারগুলোতে" এগুলোর দাম অত্যন্ত বেশি।

 

 

এনডুমিসোর মতো কিছু শ্রমিক মাসে প্রায় ১,১০০ ডলার আয় করেন, যা তাদের পুরোনো চাকরির আয়ের চেয়ে বহুগুণ বেশি। তবে এই জীবনে প্রচুর ঝুঁকি রয়েছে, যেমন গ্যাং সদস্যদের হুমকি, দুর্ঘটনা, এবং শারীরিক সমস্যাগুলো। খনির নিচে বিভিন্ন গ্যাংদের মধ্যে অস্ত্রধারী সংঘর্ষ ঘটে এবং অনেক শ্রমিককে বাধ্যতামূলক শ্রমে নিযুক্ত করা হয়।

 

 

এনডুমিসোর মতো হাজারো মানুষ দক্ষিণ আফ্রিকার অবৈধ খনিগুলোতে কাজ করে জীবন ধারণ করছেন। তবে সরকার এখন এই খনিগুলো বন্ধ করার পদক্ষেপ নিচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, খনি শ্রমিকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হলে দেশের অর্থনৈতিক সংকট আরও বেড়ে যাবে। তথ্যসূত্র : বিবিসি

 


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

দক্ষিণ লেবাননে ৬ চিকিৎসাকর্মী নিহত
সংক্ষিপ্ত বিশ্বসংবাদ
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নে সংলাপে আগ্রহী চীন
আলু-পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি নিয়ে সরব মমতা
আদানির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ যে প্রভাব পড়বে ভারতে
আরও

আরও পড়ুন

স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের দাবী অত্যন্ত যৌক্তিক

স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের দাবী অত্যন্ত যৌক্তিক

পাঠ্যবই ছাপায় অনিয়মে আনন্দ প্রিন্টার্সকে সতর্কতা

পাঠ্যবই ছাপায় অনিয়মে আনন্দ প্রিন্টার্সকে সতর্কতা

দক্ষিণ লেবাননে ৬ চিকিৎসাকর্মী নিহত

দক্ষিণ লেবাননে ৬ চিকিৎসাকর্মী নিহত

জনগণের সাথে জনসংযোগ বাড়াতে হবে

জনগণের সাথে জনসংযোগ বাড়াতে হবে

আমরা যুদ্ধে বিশ্বাসী না কেউ গায়ে পড়লে জবাবের প্রস্তুতি রাখতে হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

আমরা যুদ্ধে বিশ্বাসী না কেউ গায়ে পড়লে জবাবের প্রস্তুতি রাখতে হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

বাফুফের নতুন সভাপতি তাবিথের কাছে ২৭ রেফারির চিঠি

বাফুফের নতুন সভাপতি তাবিথের কাছে ২৭ রেফারির চিঠি

ফের বাড়লো সোনার দাম, ভরি ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা

ফের বাড়লো সোনার দাম, ভরি ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা

বাংলাদেশে খেলা নিয়ে অনিশ্চিয়তায় হামজা!

বাংলাদেশে খেলা নিয়ে অনিশ্চিয়তায় হামজা!

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেই হবে অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফের খেলা

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেই হবে অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফের খেলা

সিলেটে মাজিদের ফিফটি

সিলেটে মাজিদের ফিফটি

অ্যাম্বাসেডর কাপ উশুতে সেনাবাহিনী চ্যাম্পিয়ন

অ্যাম্বাসেডর কাপ উশুতে সেনাবাহিনী চ্যাম্পিয়ন

মাদক শুধু ব্যক্তিকে নয় পরিবারকেও ধ্বংস করে

মাদক শুধু ব্যক্তিকে নয় পরিবারকেও ধ্বংস করে

সাধারণ মানুষের পেটে লাথি মেরে আ.লীগ নিজেদের ভাগ্য গড়েছে : এমরান সালেহ প্রিন্স

সাধারণ মানুষের পেটে লাথি মেরে আ.লীগ নিজেদের ভাগ্য গড়েছে : এমরান সালেহ প্রিন্স

ধর্মদ্রোহী সরকারের সময় কোনো ধর্মই নিরাপদ ছিল না

ধর্মদ্রোহী সরকারের সময় কোনো ধর্মই নিরাপদ ছিল না

দৌলতখানে শীতকালীন সবজি পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক

দৌলতখানে শীতকালীন সবজি পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক

সুন্দরগঞ্জে ছয় পা বিশিষ্ট বাছুরের জন্ম

সুন্দরগঞ্জে ছয় পা বিশিষ্ট বাছুরের জন্ম

বৈষম্যের শিকার কুমিল্লার ১৫ হাজার এতিম শিশু

বৈষম্যের শিকার কুমিল্লার ১৫ হাজার এতিম শিশু

দালালচক্রে জিম্মি রোগীরা

দালালচক্রে জিম্মি রোগীরা

ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোই সাটুরিয়ার শিশু শিক্ষার্থীদের ভরসা

ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোই সাটুরিয়ার শিশু শিক্ষার্থীদের ভরসা

পঞ্চগড়ে চিকিৎসক পদায়নের দাবিতে সড়ক অবরোধ

পঞ্চগড়ে চিকিৎসক পদায়নের দাবিতে সড়ক অবরোধ